ফেসবুকে সেল বাড়ানোর সুনিদিষ্ট কার্যকর উপায়

এ এফ এম তানভীর নবী

 আপনারা ফেসবুক ব্যবহার করেন এবং ব্যবসা বাড়াতে চান। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকই সামাজিক সর্ম্পক এবং পারস্পরিক ভাব আদান প্রদানের মাধ্যম হিসাবে ফেসবুক ব্যবহার করেন। আপনার লক্ষ্যে যদি হয় ব্যবসা, ক্রেতা আকর্ষণ আপনার জন্য অপরিহার্য। ফেসবুকে সেল বাড়ানো আপনার জন্য জরুরী। অনলাইন ব্যবসায় সফলতার অন্যত্তম চাবিকাঠি সামাজিক মাধ্যমে আপনার পন্যর সরব উপস্থিতি। ফেসবুকে সেল বাড়ানোর কার্যকর উপায় জানা থাকায় আপনার প্রতিযোগী ব্যবসায়ী এগিয়ে রয়েছে। আপনার পন্যর ছবি, পণ্যের গুনগত মানের বর্ননা, ক্রেতা আপনার পন্য কেন কিনবে,আপনার পন্যর বিশেষ বিশেষত্ব কি, ফেসবুকে আপনার পণ্যের ব্যনারটি কি ভাবে সজ্জিত এবং কখন ফেসবুকে পোস্টটি শেয়ার করছেন এসবই আপনার পরিকল্পনায় থাকতে হবে। সর্বপরি ক্রেতার আবেগকে ধারন করতে হবে।


আপনি ফেসবুকে একটি বা একাধিক পন্যর পোস্ট শেয়ার করলেন এবং পোস্টটি দৃশ্যমান হলো। আপনি ভাবলেন ব্যবসা হয়ে গেল। বিষয়টি মোটেই সে রকম নয়। এই ধরনের পোস্ট শেয়ার খবুই কমন এবং গতানুগতিক। আপনি অন্যর চেয়ে এগিয়ে থাকতে চান, এখন আপনার করনীয় কি ? আপনি ফেসবুককে জানুন, বুঝুন তারপর বিপনন করুন। আপনার সময়কে এই মাধ্যমকে চেনার এবং জানার জন্য  ব্যয় করতে হবে। ফেসবুকের যে ব্যবসা বান্ধব ফিচার রয়েছে তা সর্ম্পকে স্পষ্ঠ ধারনা আপনাকে রাখতেই হবে । যদি আপনি অন্যর চেয়ে একটু আলাদাভাবে নিজের ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয় এই মাধ্যমে উপস্থাপনা করতে চান। নিশ্চিত ভাবুন,  ক্রেতা আপনার করায়ত্ত। আর সময় ক্ষেপন নয়, শুরু করুন এখনি ভিন্নভাবে, ভিন্ন আঙ্গিকে ।


ফেসবুকের আকষর্ণীয় ফিচারগুলো কি কি

  • ফেসবুক গ্রুপ পোস্ট

  • বিজনেস পেজ

  • ইভেন্ট

  • ক্যারোজেল এ্যাড

  • মার্কেট প্লেস লিস্টিং

  • এ্যাড সেকশন

  • ম্যাসেজ বক্স



ফেসবুকের পোস্ট রিচ  কমে যাওয়ার কারনগুলো কি কি হতে পারে:

*নিয়মিত পোস্ট না দেয়া।সিডিউল করে নিয়মিত পোস্ট দিতে হবে।

*বুস্ট করা থেকে বিরত থাকা।

*কুপনের ব্যবহার পরিহার করা।

*ব্যান্ডেল অফারে যোগ না দেয়া। নিদিষ্ট একটি আইডি হতে বেশি পোস্ট করার ঝুকিটি অবগত থাকা।

*ফেসবুক নীতিমালার পরিপন্থি কর্মকান্ড থেকে দুরে থাকা।বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনুধাবন করা।



ইনফোগ্রাফিকস এ ফেসবুকের অবস্থান সুস্পষ্ঠ। 

আপনার লক্ষ্যে হতে হবে ব্যবহারকারীকে ক্রেতায় রুপান্তরের কৌশল গ্রহন। ব্যবহারকারীর আবেগ বা ইমোশনকে আপনার অনুকূলে আনা। তার ফেসবুক এংগেজমেন্টকে আপনার পণ্যের প্রতি সক্রিয় করে তোলা।মেসেজ বক্স হতে পারে আপনার জন্য ফলপ্রসূ একটি অপশন। এটা একটি ভাবের প্রত্যক্ষ আদান-প্রদানের টিনি বক্স। আপনি খেয়াল করে থাকবেন ফেসবুক পেজ হকারের হাটে পরিনত হয়েছে। এটাও কিন্তু ফেসবুক চায় না। সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যম হিসাবে পরিচিতিটাই তাদের  মুখ্য। অনেকেই তাদের পন্য সামাজিক অবয়বে প্রকাশে আগ্রহী। বিষয়টি উপভোগ্য। আরও একটি লক্ষ্যেনীয় বিষয় হল একটি এডের মধ্যে একাধিক এডসেট করা। বিষয়টি ইন্টারেস্টিং এবং কার্যকরও বটে। লিঙ্গ, বয়স, শ্রেণি নির্বিশেষ সকলের নিকট এই ম্যধ্যমটির গ্রহযোগ্যতা আকাশচুম্বী।ব্যবসার আকর্ষনটা এখানেই।


ফেসবুকে সেল বাড়ানোর সাথে ফেসবুক পেজ রিচের সর্ম্পকটি অবধারিত। আপনি হতাশ, আপনি আকাঙ্খিত মাত্রায় সাড়া পাচ্ছেন না। আপনার উপলদ্ধি হলো ফেসবুক পেজের রিচ ক্রমান্বয়ে কমছে। ফেসবুককে দুষছেন। ভাবছেন যত ফ্যাসাদের মূল হোতা তাদের এলগোরিদম। শান্ত হউন। শুনুন তারা কি বলতে চায়। তাদের অকাট্য যুক্তি তারা নিয়ম মেনেই আপডেট কর‍ে যায়, তাদের নুতুন নুতুন  ইউজার  যোগ হচ্ছে, ফেসবুকের ভাবনায় তারা আছেন এবং থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। পূর্বেই উল্লেখ করেছি বিজনেস পোস্ট সর্বদাই তাদের আকাঙ্খিত নয়, একই আপ্ত বাক্য প্রযোয্য স্পন্সর পোস্টের ক্ষেত্রেও। আপনার অনুরাগ বা বিরাগে অচল বা সচল হবে না ফেসবুকের র্টাম এন্ড পলিসি বা নীতিমালা। এটাই সত্য এবং ধ্রব সত্য।





ফেসবুকে সেল বাড়ানোর কার্যকর উপায়গুলো কি কি:

  • পণ্যের  ছবি একাধিক এ্যাঙ্গেলে তুলন এবং একই পণ্যের একাধিক ছবি তুলুন, তারপর পোস্ট করুন।  ছবি স্পষ্ঠ হতে হবে। 

  •  পন্যর গুনগত মানের বর্ণনা ইউনিক হতে হবে। পন্যর বিশেষত্ব কি, স্পষ্ঠ করে অবহিত করতে হবে। কেন ক্রেতা আপনার পণ্যেটি ক্রয় করবে ?

  • ভাল মানের একটি ব্যানার ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।ব্যানারটিতে রং, ইফেক্ট, আউটলাইন, ডিজাইনের দিকে পন্যর সাথে সংগতি রেখে করলে ভাল হয়।

  • পোস্টটি বিকাল ০৪ টা হতে রাত ০৯টার মধ্যে শেয়ার করুন।

  • পণ্যেটি সংক্রান্ত ভিডিও আপলোড করুন।

  • ব্যবসায়িক ওয়েব সাইট খুলুন। ক্রেতাদের সেখানে ভিজিটে উদ্বুদ্ধ করুন।সাইটে পন্যর ডিটেইলস প্রস্তুত রাখুন।

  • প্রয়োজনে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হায়ার করুন বা পরামর্শ নিন।

 


ফেসবুকে সেল করুন, খুশি মনে হিসাব রাখুন।


ফেসবুকে সেল বাড়ানোর কার্যকর উপায়ের অন্যত্তম কৌশল হল আপনার উদ্ভাবনী প্রয়াস। আপনার পরিকল্পনার ব্যাপকতা জরুরী। আপনি ভাল জানেন আপনার পণ্যেরব্রান্ডিং, কাস্টমার অডিয়েন্স, সর্বপরি আপনার পন্য বা সেবার কোয়ালিটি  লেভেল ।বর্তমানে ফেসবুক ফেনেল ভালই চলছে । আপনিও ট্রাই করুন। প্রতিযোগিতামুখর এই যুদ্ধে অস্ত্রের ব্যবহারের পারদর্শিতা আপনাকে বিজয় রথে উঠাবেই, নিশ্চিত থাকুন।  আপনার বিপনন জ্ঞানকে পুষ্ঠ করতে আমার সদাই প্রস্তত।  ডিজিটাল ডিফিসিয়েন্সি আপনার  চলার পথকে যেন কর্ন্টাকীর্ণ না করে। লেখাটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। পরিশেষে স্মরণ করিয়ে দিতে  চাই ফেসবুক বট ও মেসেঞ্জার অপশন যুক্ত করার বিষয়টি। সরাসরি ব্যবহারকারী বা ক্রেতার সাথে যোগাযোগের এক অনন্য মাধ্যম।  ফেসবুক সেল বাড়ানোর প্রমানিত এক কার্যকর বাটন।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য ফেসবুক আপনাকে কি ভাবে সাহায্যে করতে পারে।

ফেসবুকে জনপ্রিয় হওয়ার ০৫টি উপায়